বৃদ্ধকাল
প্রৌঢ়ত্ব শেষ হতে চলে,
ধীরে ধীরে বৃদ্ধকাল চলে আসে।
দেহের যন্ত্রগুলো হয় অকেজো।
বিধাতার বিধান, করিবার কিছু নাহি।
মনে জাগে ভয়,
কতদিন যে বাঁচিতে হয়?
দুর্বল দেহ টেনে টেনে
চালিতে যে হবে শেষ জীবনে।
পুত্র, বধূ,তনয়, তনয়াগন
না জানি সেবা করিবে কতকাল?
বিরক্তি আসিবেই একবার নয় একবার।
কেহ সন্তান হারা হয়ে একলা কাটায় জীবন।
হায় বৃদ্ধকাল বড় সংকটকাল।
বৃদ্ধকালে কেহ কাটায় জ্ঞান হারা হয়ে,
কেহ থাকে অনড়, নির্বাক ভাবে,
কেহ থাকে হর্ষে বা বিষাদে।
কেহ কেহ ঔষধ পথ্যিহারা হয়ে।
অভাবের জন্যে,কেঁদে কাঁদায় চোখের জলে।
জ্ঞানহারা বৃদ্ধ বৃদ্ধাগন, উম্মাদ হয়ে মারধর করে সন্তান ও সেবক সেবিকার উপর।
কত কটুকথা শুনিতে হয় আপনজনদের।
কোনো দোষ নেই,
ওরাও যে হয়ে যায় নিরুপায়।
কারো কারো স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
সন্তানহারা হয়ে দিন কাটায়, চোখের জল ফেলে।
হায় বৃদ্ধকাল, রোগে জর্জরিত সংকটকাল।
হে প্রভু, দয়াময়,স্নেহময় আমার
তোমার রহমত বর্ষিত কর
বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের উপর।
জ্ঞানহারা না হলে, বৃদ্ধকাল নহে
সংকটকাল।
স্রষ্টার মহান নাম হৃদয়ে হোক স্থাপিত,
আলোয় উঠুক হৃদয় ভরে যাবার কালে।
যাবে তাই নিয়ে যাবে এই
দুনিয়া ছেড়ে।
ধন,জন কেহ যাবেনা সাথে সঞ্চিত পুঁজি নিয়ে একাই যে যেতে হবে।
-- রাজিয়া খাতুন