‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অলরাউন্ডার: গোলাম রাব্বানী

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন অলরাউন্ডার। তাঁর আদর্শের সৈনিক হতে হলে আমাদের রাঁধতেও হবে, চুলও বাঁধতে হবে। সকল কাজের কাজি হতে হবে। শিল্প ও সাহিত্যের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অনুরাগ ছিল।’
ডাকসুর বাজেট বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বাজেটের ৪০০ ভাগের মাত্র ১ ভাগ ডাকসুর জন্য বরাদ্দ। ২৮ বছর ডাকসু বন্ধ ছিল, কিন্তু ডাকসু ও হল সংসদের জন্য শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়েছেন। সেই টাকার হিসাব আমরা চাইছি না, ডাকসুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের ১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হোক।’
যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশকে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল করেছিলেন বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে রোববার বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নুরুল হক এ মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডাকসু ‘বঙ্গবন্ধুর সংস্কৃতি ভাবনা ও স্বাধীনতার গান’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নুরুল হক বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে সুন্দরভাবে বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, যুদ্ধের ডামাডোল মাত্র শেষ হয়েছে, মানুষের হাতে অস্ত্র আছে। সেই জায়গা থেকে কীভাবে সুশৃঙ্খল একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলা যায়, সেই ভাবনা থেকে তিনি বাকশাল গঠন করতে চেয়েছিলেন।
ডাকসু ভিপি বলেন, ‘বাকশাল গঠনে যদি কোনো ভুল থেকে থাকে, আমার মনে হয় তখন যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের ছিলেন, যারা তাকে মুজিব ভাই বলে সম্বোধন করতেন, তারা চাইলে আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে আরও সম্পাদনা, বর্জন-পরিমার্জন করতে পারতেন। কিন্তু এর জন্য এমন একজন নেতাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হবে, এটি আমাদের এবং ওই সময়ের রাজনীতিবিদদের জন্য একটি লজ্জার বিষয়।’
ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘মোরাল পুলিশিং’ না করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা জানেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে নিজেদের জীবনযাপন করতে হয়।’
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান।