ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনায় মাইক পেন্স


৬ মে ২০২৫ ১৩:৩০

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১৯:০২

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন তার প্রথম মেয়াদে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী মাইক পেন্স। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প যে শুল্কনীতি গ্রহণ করেছেন তা মার্কিন অর্থনীতিতে হতাশা সৃষ্টি করবে। পণ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর ফলে জনগণের চাপে তাকে নীতি পরিবর্তন করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নির্বাচনের পর ক্যাপিটল হিলে ৬ই জানুয়ারি যখন বিজয়ী প্রার্থী ডেমোক্রেট জো বাইডেনকে অনুমোদন দেয়ার অধিবেশন বসার পর্যায়ে ছিল, তখন রিপাবলিকানরা তাতে নজিরবিহীন হামলা চালায়। সেই থেকে ট্রাম্পের সমালোচনা শুরু করেন মাইক পেন্স। তিনি সেদিন অসাধারণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি জো বাইডেনকে বিজয়ী বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। অথচ নির্বাচনের ফল উল্টে দিতে তাকে চাপ দিয়েছিলেন তখনকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মাইক পেন্স বলেন, এ ধরনের শুল্ক ‘আমেরিকান জনগণের জন্য কোনও জয় নয়’। তার ভয়, এর প্রভাব আসলেই এখনও পুরোপুরি দেখা যায়নি। তার ভাষায়, আমার উদ্বেগ আছে যে- প্রেসিডেন্টের বন্ধুত্বপূর্ণ ও শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলোর উপর সাধারণ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত নতুন শিল্পনীতি হিসেবে পরিণত হবে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি করবে এবং ভোক্তাদের ক্ষতি করবে এবং শেষমেশ আমেরিকান অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন স্বীকার করেছে- শুল্কের কারণে অর্থনীতিতে পণ্যমূল্যে হতাশা এবং সরবরাহে ঘাটতি হতে পারে।

ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতি নিয়ে পেন্স বলেন, রাশিয়া শান্তি চায় না, তারা ইউক্রেন চায়। এখন যখন ইউক্রেন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং রাশিয়া সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে বিলম্ব করছে, তাতে এটি আরও স্পষ্ট হয়। ট্রাম্পের কানাডা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিরও সমালোচনা করেন পেন্স। ট্রাম্প কানাডার উপর বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করেন এবং দেশটিকে ৫১তম মার্কিন রাজ্য হিসেবে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পেন্স কানাডাকে ‘মহান মিত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, কানাডার সেনারা আমাদের সাথে একত্রে প্রতিটি যুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং মরেছেন।