ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


অভিজাত পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে রয়টার্স


৬ মে ২০২৫ ১১:২৪

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১৭:০০

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য এ বছর অভিজাত পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফেনটানাইল তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্টের জন্য তাদেরকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস জিতেছে চারটি পুরস্কার। ওয়াশিংটন পোস্টের একজন কার্টুনিস্ট প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করায় তাকে সম্মানিত করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিন জিতেছে বিদেশে যুদ্ধ বিষয়ক রিপোর্ট কভার করার জন্য তিনটি পুরস্কার। উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতায় সবচেয়ে অভিজাত পুরষ্কার পুলিৎজার। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, ফেনটানাইল এমন এক ওষুধ যা যুক্তরাষ্ট্রে কেড়ে নিয়েছে সাড়ে চার লাখ প্রাণ।

উল্লেখ্য, রয়টার্র্সের সাংবাদিকরা ফেনটানাইল তৈরির সব উপাদান কিনেছেন। তা নিয়ে সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘ফেনটানাইল এক্সপ্রেস’ প্রকাশ করেছেন। দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে যখন সিনথেটিক অপিয়ডের সংকট তখন চীনের এই রাসায়নিক বিস্ময়করভাবে সস্তা এবং সহজে পাওয়া যাচ্ছে। আর কেনইবা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ এই ভয়াবহ বাণিজ্য বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব তথ্য জানতে রয়টার্সের সাংবাদিক টিমের সদস্যরা ৩৬০০ ডলার দিয়ে রাসায়নিক উপাদানগুলো কেনেন। এই উপাদান দিয়ে কমপক্ষে ৩০ লাখ ডলার মূল্যের ফেনটানাইল তৈরি করা যেতো। তবে ওইসব সাংবাদিক ফেনটানাইল তৈরি করেননি। তাদের উদ্দেশ্যও সেটা ছিল না। তারা ওইসব রাসায়নিকের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালান। তারপর প্রথম ধারাবাহিক রিপোর্ট প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয় কিভাবে এই রাসায়নিকের সরবরাহ চেইন কাজ করে। প্রকাশ করে দেন কিভাবে এবং কেন মার্কিন সরকার এর প্রবাহকে বন্ধ করতে পারছে না। রয়টার্সের ওই অনুসন্ধানী সাংবাদিকের টিমে ছিলেন মরিস ট্যাম্মান, লরা গোসেডিয়েনার, স্টিফেন আইজেনহ্যামার, ড্রাজেন জোরগিস, ডেইজি চাং, ক্রিস্টিনা কুক, মাইকেল মারটিনা, অ্যান্তোনি স্লোডকোওস্কি এবং শ্যানন স্টাপলেটন। এর মধ্য দিয়ে তারা ২০০৮ সালের পর রয়টার্সের জন্য ১৩তম পুলিৎজার পুরস্কার নিয়ে এলেন।

অন্যদিকে ১৯১৭ সালে এই পুরস্কার দেয়া শুরু হওয়ার পর নিউ ইয়র্ক টাইমস ১৩৯টি পুরষ্কার জিতেছে। এটাই পুলিৎজারে সবচেয়ে বেশি পুরস্কারবিজয়ী পত্রিকা। গত বছর জুলাইয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টা করা হয় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময়। সেই ছবি ধারণ করেছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের ফটোসাংবাদিক ডগ মিলস। সেই ছবি পুরস্কার জিতেছে। একই সঙ্গে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিষয়ক পরীক্ষা নিরীক্ষা বিষয়ে রিপোর্টিংয়ে পুরস্কার জিতেছে পত্রিকাটি। সুদান যুদ্ধ নিয়ে রিপোর্টিং করার জন্য পুরস্কার জিতেছেন তাদের সাংবাদিক ডিক্লান ওয়ালস। ফেনটানাইল নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে পুরস্কার জিতেছে অলাভজনক পত্রিকা বাল্টিমোর ব্যানার। নিউ ইয়র্কার জিতেছে মতামত, ফিচার ফটোগ্রাফি এবং অডিও রিপোর্টিংয়ের জন্য।