রাশিয়ায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ

রাশিয়ায় টানা দ্বিতীয় বারের মতো ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। নিরাপত্তার খাতিরে রাজধানীর চারটি প্রধান বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শহরের প্রধান শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ভলগোগ্রাদ এবং নিজনি নভগোরোডসহ অন্যান্য শহরের বিমানবন্দরগুলোতেও যান চলাচল ব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মে) রাশিয়ার মস্কোতে এই ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। এদিন পেনজা ও ভোরোনেঝের মতো রুশ শহরেও ড্রোন হামলার নিশানা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ওই শহরের গভর্নররা।
রুশ নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি টেলিগ্রাম চ্যানেল—বাজা, ম্যাশ ও শট-এ দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, রাজধানীর দক্ষিণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ড্রোন হামলা হয়। এতে ভবনটির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া পোস্টে মেয়র সোবিয়ানিন বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে আসা অন্তত ১৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন শহরে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে।যেসব জায়গায় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়েছে, তার কোনোটিতে কোনো ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। জরুরি সেবা বিভাগের বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানিয়েছে, তারা রাতের বেলায় ২৬টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেন এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে খারকিভের মেয়র বলেছেন, রাশিয়াও রাতের বেলায় কিয়েভের পাশাপাশি ইউক্রেনের শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া তাদের যুদ্ধ পরিচালনায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ব্যবহার করে, সেগুলো ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু করে তারা। ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড, বিশেষ করে আবাসিক এলাকা ও জ্বালানি স্থাপনায় রাশিয়ার অব্যাহত হামলার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মধ্য দিয়ে দুই দেশের যুদ্ধ শুরু হয়। মস্কো তখন একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে উল্লেখ করে। সেই থেকে কিয়েভ একাধিকবার মস্কোর ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি হয় গত মার্চে। ওই হামলায় তিনজন নিহত হন।