সবার চোখ সাধারণ সম্পাদক পদে
আ'লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ঘিরে আলোচনায় যারা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন আলোচনায় রয়েছে কে হচ্ছেন দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। কারণ সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ছাড়া সাধারণত আর কোনো প্রার্থী থাকে না। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে মূল আলোচনায় থাকে কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক তা নিয়ে। এরই মধ্যে ৭-৮ জন নেতার নাম আলোচনায় উঠে এসেছে দলের এই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে। আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রধান চমক থাকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে।
প্রতিটি সম্মেলনেই এটা হয়ে থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। দলের সব স্তরের নেতাকর্মীর দৃষ্টি এখন এই পদের দিকে। এ নিয়ে চলছে দলের ভেতরে-বাইরে নানামুখী আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
দলীয় সূত্র বলছে, এ পদে সম্ভাব্যদের তালিকায় ৭-৮ জন নেতার নামই আসছে বারবার। দলের ভেতরে এই নেতাদের সমর্থকেরা তাদের নিয়ে যেমন আলোচনা করছেন পাশাপাশি দলের বাইরেও রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সম্মেলনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই মানুষের জানার আগ্রহ বাড়ছে আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন? বর্তমানে যিনি আছেন তিনিই বহাল থাকছেন, নাকি এই পদে পরিবর্তন আসছে, তা নিয়েও চলছে গুঞ্জন।
আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায় থেকে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির শাখাগুলোর সম্মেলন। এরই মধ্যে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। এখন পর্যন্ত যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তার মধ্যে এগিয়ে আছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আবারও এ পদের দায়িত্ব পাচ্ছেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন বলে জোর আলোচনা চলছে দলের ভেতরে। এর আগে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পরপর দুই মেয়াদে এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওবায়দুল কাদেরও এই পদে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে।
তবে সাধারণ সম্পাদকের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সিদ্ধান্তের ওপরই সব কিছু নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা। ওবায়দুল কাদের ছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানকের নামও আলোচনায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা বলছেন, সাধারণ সম্পাদক পদটির বিষয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা করা যায় না। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই পদটির জন্য অনেকের আগ্রহ আছে এবং থাকে। এ পদের জন্য অনেক যোগ্য নেতা আওয়ামী লীগে আছেন। কিন্তু এ পদের দায়িত্ব কে পাবেন তা একান্তই দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্ধারণ করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাধারণ সম্পাদক ঠিক করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন কে সাধারণ সম্পাদক হবেন। আওয়ামী লীগে নেতা হওয়ার মতো, সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো অনেক যোগ্য লোক আছেন। নেত্রী যাকে ভালো মনে করবেন তিনিই হবেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক।