পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য
জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয় এমন কিছু করবে না ভারত

বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ভারত এমন কিছু করবে না যাতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে চলছে বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ। এ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিদেশি অতিথিদের অনেকেই। বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে যাদের সুসম্পর্ক তারা অনেকেই আসছেন। মুজিব বর্ষে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, বন্ধুপ্রতিম ভারত এমন কিছু করবে না যাতে দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পারস্পরিক বন্ধুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারত এগিয়ে যাবে। উভয় দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরির প্রেক্ষাপটে সেখান থেকে শত শত মানুষ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। যদিও এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেই উল্লেখ করে আসছে ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার বার্ষিকী উপলক্ষে একত্রিত হয়েছি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উভয় দেশ অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। বর্তমানে এই দুদেশের সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও বোঝাপড়া অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ়তর জায়গায় রয়েছে। যার ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির প্রমুখ।