চোখ হারানোর শঙ্কায় ডাকসুতে মার খাওয়া জাবি ছাত্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফুল ইসলাম আদিবের দুচোখে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।
রোববার ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার সময় গুরুতর আহত হন আরিফ। আরিফের চোখের অবস্থার 'অবনতি' হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার সহযোগীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও দৃশ্যে দেখা যায়, রোববারের হামলায় নীল জ্যাকেট পরা একজন তরুণকে মাটিতে ফেলে কয়েকজন মিলে বেধড়ক পেটাচ্ছে। মার খাওয়া তরুণ জাবি ছাত্র আরিফ।
বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান আরিফের শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে দেশ রূপান্তরকে জানান, হামলার দিন হাসপাতালে ভর্তির পর তার চোখে সমস্যা দেখা দেয়নি। পরদিন থেকে চোখ লাল হতে শুরু করে ও রক্ত বাঁধতে থাকে। চোখের অবস্থার ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, মাথায় ও চোখের আশেপাশে আঘাতের কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়। এখন তার দুই চোখে রক্ত জমাট বেঁধে আছে, তাকাতে পারছে না। কোমরে প্রচণ্ড ব্যাথার কারণে শুয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে তার। এ ছাড়া কিছু খেলেই বমি হচ্ছে, পেট ফেঁপে আছে, অক্সিজেন মাস্ক ছাড়া শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
ওই দিনের হামলায় ফারুক নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হামলার বর্ণনা দিয়ে আরিফ বলেন, প্রথমে ওরা আমাকে ভিপির কক্ষে মারধর করে। মারতে মারতে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে আনে। নিচে নামিয়ে কয়েকজন মিলে মেরে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয় এবং লাঠি রড হকিস্টিক দিয়ে পেটাতে থাকে। ভিপির কক্ষে মারার সময় জামা দিয়ে আমার গলায় ফাঁস দেওয়ারও চেষ্টা করে তারা।