ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২


পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে যতটুকু স্বার্থ আছে, ততটুকুই এগিয়ে নিয়ে যাব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা


২ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২৮

আপডেট:
৭ মে ২০২৫ ১১:৫২


আমরা মোটেই তাদের সাথে একাত্তরকে বাদ দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টা করব না। আমরা তাদের সাথে সুসম্পর্ক উন্নয়নে অবশ্যই কাজ করব, তবে ৭১’ ও সাথে থাকবে। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের যতটুকু স্বার্থ আছে, ততটুকুই এগিয়ে নিয়ে যাব। একাত্তর এ যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সব সময়ই শ্রদ্ধা থাকবে। এখন আমরা যে শহীদের কারণে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতিও অবশ্যই শ্রদ্ধা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯-তম অধিবেশনে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ সম্পর্কে আয়োজিত আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন এসব কথা বলেছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনের সাইড লাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়নি। দু’দেশের সুসম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কথাবার্তা হয়েছে। ভিসা নিয়েও কথা হয়েছে। মেডিকেল ভিসা চালু আছে। দ্রুত অন্যান্য ভিসা চালু হবে বলে আশা করছি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা এ সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন,জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আলোচনা হয়নি। তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে। এ হিসেবে যদি সার্ক-কে পুনর্জীবিত করা যায় তাহলে আঞ্চলিক সুসম্পর্ক উন্নয়ন সম্ভব। এক্ষেত্রে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দু’দেশকে পাশে রেখে সার্ক উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা আছে। এভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা সম্ভব।
বৈশ্বিক বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার প্রশ্ন আসছে। মধ্য প্রাচ্যে সংঘাত বেড়েই চলেছে। ইউক্রেনের যুদ্ধ থেমে থাকছে না। সার্বিকভাবে বিশ্বে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে, এটার উপলদ্ধি সবার মাঝেই ছিল। ইউ এন জেনারেল আসেম্বলিতে যখন বক্তব্য দিয়েছে তখন কেউ এ পক্ষের, কেউ অপর পক্ষের কিন্তু কেউই বলেননি যে, বিশ্বে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। কিভাবে এ বিষয়গুলো সমাধান করা যায়, প্রতিটি দেশ তাদের নিজ নিজ অবস্থান জাতিসংঘে তুলে ধরেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জনক‚টনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হোসেন।
সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের যোগদান উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।