ঢাকা বুধবার, ১৮ই জুন ২০২৫, ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩২


ড. ইউনূস জাপানে, ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা


২৮ মে ২০২৫ ১২:৪৯

আপডেট:
১৮ জুন ২০২৫ ০৪:৫৯

জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

চার দিনের সরকারি সফরে জাপান পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই সফরে জাপান বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি বুধবার রাত ২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে।

পথে হংকংয়ে ফ্লাইটের যাত্রাবিরতির সময় ড. ইউনূস হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশটির শ্রমমন্ত্রী ক্রিস সানের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে প্রেস সচিব জানান। হংকং থেকে রওনা হয়ে বুধবার জাপান সময় দুপুর ২টা ৫মিনিটে ফ্লাইটটি নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে বাসস জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী।

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশটির শ্রমমন্ত্রী ক্রিস সানের সঙ্গে বৈঠক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টা নিক্কেই ফোরামের ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দেবেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন।

ড. ইউনূসের সফরে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান প্রেস সচিব শফিকুল। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিতে পারে জাপান। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সহায়তা হিসাবে, ২৫০ মিলিয়ন রেলখাতের উন্নয়নে এবং ২৫০ মিলিয়ন অন্যান্য খাতের জন্য।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ৩০ মে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক মিলিত হবে প্রধান উপদেষ্টা। এই সফরের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, “জাপানে কীভাবে প্রশিক্ষিত জনবল পাঠানো যায়, বিষয়টি এবারের সফরে বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর জন্য ভাষা প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কীভাবে ভাষা প্রশিক্ষণ দিয়ে জনবল পাঠানো যায়, সে বিষয়ে গভীর আলোচনা হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আপাতত ১ লাখ জনবল সেখানে পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছেন বলে তিনি জানান।

ড. ইউনূস দুটি সেমিনারে অংশ নেবেন জানিয়ে শফিকুল বিনিয়োগ সম্পর্কিত বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনারের কথা জানান। তিনি বলেন, “মহেশখালী-মাতারবাড়ি অঞ্চলের উন্নয়ন উদ্যোগ (এমআইডিআই) বাস্তবায়নের বিষয় হবে ড. ইউনূসের আলোচনার প্রধান বিষয়। জাপান বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য কী কী সুবিধা দেওয়া যায়, সে সব বিষয় তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা।”

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি থাকবে। শফিকুল আলম বলেন, “জাপান মাতারবাড়ি অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা মহেশখালী-মাতারবাড়ী অঞ্চলকে সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত বন্দর এলাকায় রূপান্তর করতে চান। জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টা বড় বড় কোম্পানিকে এই বন্দরে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাবেন।”

সফরে জাপানের একটি ইউনিভার্সিটি থেকে বিশেষ সম্মাননা নেবেন ড. ইউনূস। আগামী ৩১ মে প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।