আজ রাত ১২টা থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে, আজ রাত ১২টা (২৪শে ডিসেম্বর সোমবার) থেকে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। ২রা জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে কাজ করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া প্রতি জেলায় এক ব্যাটেলিয়ন করে সারা দেশের ৩০ হাজারের বেশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে, কাল সকাল থেকে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনী, এবং ১৮টি উপজেলায় টহল দেবে নৌবাহিনী।
ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে এবং নির্বাচনি এলাকায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে এই সময়ে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে ‘ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী কাজ করবেন সশস্ত্র বাহিনীর এ সদস্যরা। তারা জেলা/উপজেলা/মহানগর এলাকার সংযোগস্থলে ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন। তারা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ে মাধ্যমে প্রয়োজনে অনুযায়ী টহল ও অন্যান্য আভিযানিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্রে সশস্ত্রো বাহিনীর কর্মপরিধিতে বলে হয়েছে- নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা চাইলে, আইনশৃঙ্খলা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে পুলিশসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে তারা সহায়তা করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনাকক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনে সেনাবাহিনী বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। স্ট্রাইকিং ফোর্স সেনা সদস্যরা হিসেবে কাজ করবেন। যেকোন অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে, সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে, তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবেন। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনও উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন।
জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে সেনা বাহিনীর কমিশন্ড অফিসার সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারবেন।
এর আগে, সারাদেশে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।