ফেসবুক এক স্টাটাসে গোলাম রাব্বানীর একথা বলেন,
ভোটযুদ্ধে জয়ী হতে হবে, মোটেও আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন নাহ: রাব্বানী

যারা ছাত্রলীগকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমন্বয়ক কমিটিতে কাজ করতে দিচ্ছে না ,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে নেওয়া বলে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক এক স্টাটাসে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর একথা বলেন।
তিনি স্টাটাসে যা বলেন, আপনাকে ভোটযুদ্ধে জিতেই এই বৈতরণী পার হতে হবে,মোটেও আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন নাহ, ১৯৯১ এর নির্বাচনের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। আপা আপনাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এখন আপনাকে নিজ যোগ্যতায় সকল আদর্শিক সহযোদ্ধাদের এক করে, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সবাইকে যথাযথ মূল্যায়ন করে আপনার পক্ষে মাঠে নামাতে হবে, তবেই মিলবে কাঙ্খিত জয়।
দৈনিক আমাদের দিনের পাঠকদের জন্য হুবহু স্টাটাসটি তুলে ধরা হল!
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারণা ও যাবতীয় কার্যক্রমকে সুচারুভাবে সমন্বয় করতে বিভাগীয় ও আসন ভিত্তিক কমিটি প্রকাশ করেছে বেশ কিছু দিন হলো। ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী নৌকার প্রার্থী এবং স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সাথে সমন্বয় করে পুরোদমে প্রচার-প্রচারণার কাজ করছে তারা।সবার মাঝেই দারুণ স্বতস্ফূর্ততা লক্ষনীয়।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, কিছু কিছু প্রার্থী ও তাদের কানপড়া দেয়া আশেপাশের কিছু লোকের মাঝে এমন একটা ধারণ সৃষ্টি হয়েছে, যেহেতু মনোনয়ন পেয়ে গেছেন, নেত্রী নিশ্চয়ই এমন কোন তেলেসমাতি করবেন, তারা এমনিতেই জিতে যাবেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ বা দলীয় নেতা-কর্মী কাউকেই লাগবে না।
আর এমন ভ্রান্তি থেকেই তারা ছাত্রলীগ সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মোটেই পজেটিভ রেসপন্স করছেন না, অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি ইগনোর করছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। অথচ এসব নেতা-কর্মী আদর্শিক টানে, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে, নৌকাকে ভালোবেসে দলের জন্য কাজ করতে দেশের নানা প্রান্তে ছুটে গেছেন। হ্যাঁ, প্রার্থী মহোদয়...যথাযথ সম্মান রেখেই বলছি, এমন ধারণা পোষণ করে আপনি স্রেফ বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
এবারের নির্বাচন কিন্তু মোটেও ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারীর মতো হবে না। আপনাকে ভোটযুদ্ধে জিতেই এই বৈতরণী পার হতে হবে। মোটেও আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন নাহ, ১৯৯১ এর নির্বাচনের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। আপা আপনাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এখন আপনাকে নিজ যোগ্যতায় সকল আদর্শিক সহযোদ্ধাদের এক করে, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সবাইকে যথাযথ মূল্যায়ন করে আপনার পক্ষে মাঠে নামাতে হবে, তবেই মিলবে কাঙ্খিত জয়।
যারা ছাত্রলীগকে কাজ করতে দিচ্ছেন না, বা তাদের প্রচারণার কাজে ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন না, তাদের বিষয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিকট সাংগঠনিকভাবে লিখিত রিপোর্ট জমা পরবে। আর যারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন এবং ছাত্রলীগকে সঠিক মূল্যায়ন করছেন, তাদের বিষয়েও পজেটিভ রিপোর্ট আপাকে দেয়া হবে। আর ছাত্রলীগের যে সকল ইউনিটের নেতা-কর্মী কেন্দ্র ঘোষিত সমন্বয় কমিটিকে সাহায্য করছেন না, সমন্বয়কদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিটি ইউনিটের আমলনামা আমাদের কাছে আছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি এক ও অভিন্ন পরিবার, এই বিশ্বাসে যারা ফাটল ধরাতে চাইবে এবং সংগঠনের 'চেইন অফ কমান্ড' যারা অমান্য করার অপচেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে নিশ্চিতভাবেই 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করা হবে। প্রত্যাশা থাকবে, জাতীয় নির্বাচনের পূর্বের এই মহাগুরুত্বপূর্ণ সময়ের পূর্ণ সদ্বব্যবহার করে ছাত্রলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তাদের প্রচেষ্টার শতভাগ ঢেলে দেবে এবং সম্মানিত প্রার্থীগণ ছাত্রলীগকে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিয়ে যথাযথ মূল্যায়ন করবেন। নির্বাচনে জয় লাভ করতে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় ছাত্রলীগকে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে।