ঢাকা রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


আজ মহান বিজয় দিবস

তোমাদের এই ঋণ শোধ হবেনা: গোলাম রাব্বানী


১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩৫

আপডেট:
৫ মে ২০২৪ ০৪:৩১

বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে সুখের এবং গর্বের দিন আজ। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ তাজা প্রান এবং ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলেম একটি লাল সবুজ পতাকা। হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে দেশ মাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে বীর বাঙালি ঝাপিয়ে পড়েছিলো পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। জনকের সেই উচ্চারণ “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” উদ্বেলিত করেছিলো লক্ষ কোটি বাঙালিকে। আমরা পেয়েছিলেম বিজয়ের স্বাদ, পেয়েছিলাম একটি স্বাধীন পতাকা, পেয়েছি একটি মা- বাংলাদেশ যার নাম।

৪৭ তম বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে আমি স্মরণ করছি হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে, আমি স্মরণ করছি ৩০ লক্ষ শহীদ কে, স্মরণ করছি সেই সকল সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ, পেয়েছি একটি নিজস্ব পতাকা। বহু কাঙ্ক্ষিত এই দিনটির দেখা মিলেছিল ইতিহাসের পাতায় রক্তিম আখরে লেখা এক সংগ্রামের শেষে ১৯৭১ সালে, ১৬ ডিসেম্বর। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৪৭ বছর আগের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের।

২৫ শে মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি আমাদের বুকও হাহাকার করে উঠবে স্বজন হারানোর বেদনায়। আমি স্বজন হারানো সেই সব পরিবারের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা।

স্বাধীনতা অর্জিত হলেও গত ৪৭ বছর জাতির চলার পথ মসৃণ ছিল না কখনো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া, দারিদ্য ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি একইভাবে চলেছে সামরিক শাসন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, যুদ্ধাপরাধের বিচার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ আন্দোলন।

গত ১০ বছরে আমরা বিশ্বের সামনে মাথা তুলে দাড়িয়েছি, তলাবিহীন ঝুড়ির তকমা থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা। ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগে দেশকে দারিদ্রমুক্ত, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করে যেতে চাই।

৪৭ তম বিজয় দিবসের প্রক্কালে আমি সকল ছাত্রলীগ নেতা কর্মীর প্রতি আহবান জানাবো প্রতিজ্ঞা করতে যে, “বিজয়ের মাসে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর বিএনপির পরাজয় নিশ্চিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা কে বিজয়ী করেই ঘরে ফিরবো।”

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

-গোলাম রাব্বানী

সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ