ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


ওয়াসার প্রকল্পে হাজার কোটি টাকা গচ্চা!


৩১ মার্চ ২০২১ ০৭:২১

আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২১ ০৭:২৬

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী থেকে ঢাকায় পানি সরবরাহ করতে ২০১৪ সালে পাঁচ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করে ঢাকা ওয়াসা। ‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প’ নামের কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। অথচ মেয়াদ শেষে অগ্রগতি মাত্র আট শতাংশ। এরপর কেটে গেছে আরও একটি বছর। তারপরও অগ্রগতি ৩০ শতাংশ। বিপরীতে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট হাজার ১৫১ কোটি টাকা। এবার নতুন লক্ষ্যমাত্রা ২০২৩ সাল। অর্থাৎ ৭০ ভাগ কাজ করতে ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে দুই হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। 

আরো পড়ুন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের একটি ফার্নিচারের দাম ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা

শুধু এই প্রকল্প নয়, নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ শেষ না করে একই প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে মেয়াদ বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারি অর্থ জলের মতো গচ্চা দিচ্ছে ঢাকা ওয়াসা। বারবার প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দের অর্থ বাড়ানোর পরও ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। বিপরীতে বরাদ্দের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ উঠিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

‘ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প’শুরু হয় ২০১৪ সালে। শেষ হওয়ার কথা ২০১৯ সালে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় পাঁচ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা। কিন্তু এ সময় কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩০ শতাংশ। নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় দুই হাজার ৯০৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে কাজ শেষের নতুন সময় নির্ধারণ হয়েছে ২০২৩ সাল। অভিযোগ আছে, কাজ শেষ না হলেও বরাদ্দের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ অর্থ উঠিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানী চোখে এমন আট থেকে ১০টি প্রকল্পের বিষয়ে বড় ধরনের ঘাপলা ধরা পড়েছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে দেওয়া বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০১৯ এ ঢাকা ওয়াসার বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য উল্লেখ করেছে দুদক। একইসঙ্গে ওয়াসার দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।


গ্রাহক সেবায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য আছে ওয়াসার বিরুদ্ধে
দুদকের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আমার কোনো মতামত নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি, অনেক বিষয়ে দুদককে ভুল বোঝানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত মেয়াদে না হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ থাকে। যা অনেক সময়ই আমলে নেওয়া হয় না
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ

এ বিষয়ে সদ্য সাবেক দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ  বলেন, কমিশন সার্বিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওয়াসার দুর্নীতির সম্ভাব্য কয়েকটি উৎস ও ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। একইসঙ্গে তা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ করেছে। কমিশন বিশ্বাস করে, সুপারিশ স্বতঃসিদ্ধ কোনো বিষয় নয়। তবে এগুলো বাস্তবায়ন হলে ওয়াসার কর্মপ্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সেবা সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (পরিচালক) নাম প্রকাশ না করে  বলেন, দুদকের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আমার কোনো মতামত নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি, অনেক বিষয়ে দুদককে ভুল বোঝানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত মেয়াদে না হওয়ার পেছনে যৌক্তিক কারণ থাকে। যা অনেক সময়ই আমলে নেওয়া হয় না।

বার্ষিক প্রতিবেদনে দুদক বলেছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হয় না।

দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা ওয়াসার যত প্রকল্প

ঢাকাসহ বৃহত্তর মিরপুর এলাকার পানির চাহিদা পূরণ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা হ্রাসকরণ প্রকল্প : প্রকল্পটি ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর অনুমোদন পায়। অনুমোদিত ডিপিপি অনুযায়ী সরকার ১৪২ কোটি, ওয়াসার ১০ কোটি, প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ৩৬৯ কোটি টাকাসহ মোট ৫২১ কোটি টাকা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়। যা শেষ হওয়ার কথা ২০১৭ সালের জুনে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে প্রকল্প ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হয় না

পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি করে ৫৭৩ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে অযৌক্তিকভাবে ৫২ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।

প্রকল্পের কাজের মধ্যে ৪৬টি উৎপাদনযোগ্য, দুটি আয়রন অপসারণ প্লান্ট, একটি ভূ-উপরিস্থ জলাধার, ৭.৮১ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ৪৮.৭৮ কিলোমিটার পানি সরবরাহ লাইন নির্মাণকাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

দুদকের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ৪৬.৭২ শতাংশ। ঠিকাদারকে ৩১৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অর্থাৎ কাজের অগ্রগতির সঙ্গে ঠিকাদারের পরিশোধিত বিলের মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান।

অন্তর্বর্তীকালীন পানি সরবরাহ প্রকল্প : ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন ৪০ কোটি লিটার অতিরিক্ত পানি সরবরাহের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এজন্য গভীর নলকূপ স্থাপন, প্রতিস্থাপন ও পানির লাইন নির্মাণ করতে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদে ২৫২ কোটি টাকার প্রকল্পটি গৃহীত হয়। যার মধ্যে প্রকল্পে ১৬২টি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৩০টি গভীর নলকূপ প্রতিস্থাপন, ৭০ কিলোমিটার পানির লাইন নির্মাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত।

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে প্রকল্পের ব্যয় প্রথম অনুমোদিত ডিপিপির মাত্র ৫১ শতাংশ অগ্রগতি হলেও ৩৬০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। আর নির্ধারিত সময়ে কয়েকটি গভীর নলকূপ স্থাপন ও কিছু পানির লাইন স্থাপন করা হলেও অধিকাংশ কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এক্ষেত্রেও কাজ যতটুকু হয়েছে তারচেয়ে বেশি বিল ঠিকাদারকে পরিশোধ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার (ফেইজ- ৩) প্রকল্প : পানি শোধনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরে পানি সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য চার হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া প্রকল্পটির কাজ ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্পের কাজে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

গ্রাহক সেবায় ওয়াসার অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বেশকিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও ওয়াসাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরও পরিবর্তন দরকার
ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি

পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ (ফেজ- ১) প্রকল্প : মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে যশলদিয়া নামক স্থানে পানি শোধনাগার নির্মাণের মাধ্যমে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড, নবাবপুর, লালবাগ, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় পানির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ৪৫০ এমএলডি (৪৫ কোটি লিটার) সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য চার হাজার ৫০৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ ২০১৩ হতে ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখনও তা শেষ হয়নি। কাজ শেষ হতে বাড়তি এক বছর সময় বাড়ানো হয়। যেখানে ব্যয় বৃদ্ধি পায় প্রায় ৬২ কোটি টাকা।

ঢাকা এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্প : ভূ-উপরিস্থ পানি শোধনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর পানি সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য পাঁচ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালের অক্টোবর হতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ওই সময়ে প্রকল্পে ২৩৮ কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র আট শতাংশ।

দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প : রাজধানীর গুলশান, বনানীসহ অন্যান্য এলাকায় পয়ঃবর্জ্য পরিশোধন প্রকল্পের জন্য তিন হাজার ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৫-২০১৯ মেয়াদে প্রকল্পটি নেয় ঢাকা ওয়াসা। ইতোমধ্যে এখানে সরকারের প্রায় ১০১ কোটি টাকা ব্যয় হলেও দুদক বলছে, অগ্রগতি একেবারেই নগণ্য।

আগারগাঁও এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প : প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অক্টোবর ২০১৫ হতে জুন ২০১৭ এর মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প : প্রায় তিন হাজার ১৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নেওয়া প্রকল্পটি ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। অদ্যাবধি প্রকল্পের কাজে কোনো অগ্রগতি নেই। কাজের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না থাকলেও কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজনৈতিক পরিচয়ে ঠিকাদার নির্বাচন, রয়েছে ঘুষের প্রথাও

দুদক বলছে, বিদেশি সাহায্য পাওয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনের বিষয়ে দাতা সংস্থার গাইড লাইন ও শর্তাবলি মানতে গিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়। কাজ পেতে ঘুষ লেনদেনের প্রচলিত প্রথাও বিদ্যমান। ফলে যথাসময়ে কাজ শেষ হয় না। অন্যদিকে প্রকল্পের ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়।

ব্যক্তিমালিকানাধীন গভীর নলকূপ স্থাপন, মিটার রিডিং ও রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ওয়াসা এখনও ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করে। ফলে রাজস্ব শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। যার মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়।

অন্যদিকে ঢাকা ওয়াসার পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সংস্থাটির বিভিন্ন শ্রেণির কর্মচারীকে তাদের নির্ধারিত সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে তাদের ওভারটাইম বিল দেওয়া হয়। যা তাদের মূল বেতনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। অনেক ক্ষেত্রে কিছু প্রভাবশালী কর্মচারী ওভারটাইম না করেও বিল ওঠান।

ঢাকা ওয়াসার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বরাবরই সরব ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদী ভূমিকায় দেখা গেছে সংস্থাটিকে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার নিয়োগ, পদায়ন ও বদলি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণসহ ক্রয়প্রক্রিয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মিটার রিডিং নেওয়া থেকে শুরু করে গ্রাহক সেবায় অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বেশকিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও ওয়াসাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরও পরিবর্তন দরকার।