ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ
ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাবে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা, জনসাধারণকে ঘরে থাকার নির্দেশ

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আটজন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে পাঞ্জাবের বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যেতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (৭ মে) বিবিসি ও আল জাজিরা এ খবর জানায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদ এবং পাঞ্জাবের সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাকিস্তান এই হামলার পাল্টা জবাবের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, জননিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে পাঞ্জাব প্রদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ। তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক পরীক্ষাগুলো বাদে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
এক বিবৃতিতে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে ঘরের বাইরে না যেতে বলা হচ্ছে। একইসঙ্গে সবাইকে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া আরেকটি বিবৃতিতে তিনি হাসপাতাল, উদ্ধারকর্মী ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। মরিয়ম বলেন, আমরা শান্তি চাই, তবে সম্মানের সঙ্গে। কেউ যদি আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে গোটা জাতি সেনাবাহিনীতে পরিণত হবে।
ভারতের মিসাইল হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান এরই মধ্যে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, ভারতীয় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে এবং কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে আটক করে যুদ্ধবন্দি হিসেবে রাখা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা চালানো হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় আরও একটি চৌকি ধ্বংস করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা শুরু হয় গত ২২ এপ্রিল, জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায়। এরপর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং মঙ্গলবার গভীর রাতে তা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ নেয়।