ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২২শে বৈশাখ ১৪৩২


আসামি ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, মাঝখানে পড়ে পোশাক শ্রমিক নিহত


১৩ জানুয়ারী ২০১৯ ২৩:১৩

আপডেট:
৫ মে ২০২৫ ০৫:৩৬

আসামি ধরা নিয়ে সংঘর্ষ, মাঝখানে পড়ে পোশাক শ্রমিক নিহত

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধশত।

শনিবার রাতে বন্দরের মদনপুর এলাকায় পুলিশ আসামি ধরতে গেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের আমির হোসেন ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে গত ১৮ নভেম্বর দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

শনিবার রাতে মদনপুর এলাকার ড্রিমল্যান্ড নামের একটি রেস্টুরেন্ট থেকে নূর নবী ও রিফাত নামের দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। তারা দুজনই খলিল মেম্বারের অনুসারী।

এ দুজনকে আটকের খবর পেয়ে খলিল মেম্বারের লোকজন এসে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে। তারা আটক দুজনকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এসময় আমির হোসেনের লোকজন পুলিশের পক্ষ নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মদনপুর এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান ও তার পক্ষের লোকজনও পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ পাল্টা অ্যাকশনে যায়।
দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল। ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের দুটি গাড়ি।

সংঘর্ষে আশিকুর রহমান (২৫) নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি বন্দর উপজেলার মদনপুরের চানপুর এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। আশিকুর মদনপুরের প্যানডেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন।
পরিবারের লোকজন বলছেন, আশিকুর বিকেলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পর সন্ধ্যায় বাজার করতে গেলে সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে নিহত হন।

এসময় বাবু নামে অপর এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ ও মোহনসহ চারজন আহত হন। এছাড়া স্থানীয় আরও ৪০-৪৫ জন আহত হয়েছেন।

একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পুলিশি বাধায় শেষ পর্যন্ত আটকদের আর ছাড়িয়ে নিতে পারেনি খলিল মেম্বারের লোকজন।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের পর এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষে কেউ নিহত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।