জামায়াত বিষয়ে বিএনপির কাছ থেকে সুরাহা চান কামাল হোসেন

জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আর কোনো রাজনীতি নয় জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এ বিষয়ে বিএনপির কাছ থেকে সুরাহা চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন, জামায়াতকে নিয়ে আমরা অতীতে রাজনীতি করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।
শনিবার বিকেল ৪টায় মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে কামাল হোসেন বলেন, জামায়াতের ২২ প্রার্থীকে ধানের শীষের প্রতীক দেওয়া হবে বিষয়টি আমি জানতাম না। প্রতীক দেওয়ার পর আমরা বিএনপির কাছে এর ব্যাখ্যাও চেয়েছিলাম।
লিখিত বক্তব্যে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, তাড়াতাড়ি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে তা সংশোধন করে ভবিষ্যতের জন্য সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা হবে।
জামায়াতকে ছাড়তে বিএনপিকে চাপ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, আমি তো মনে করি, জামায়াতকে ছেড়ে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া যেতে পারে। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জামায়াতকে নিয়ে কোনো রাজনীতি করব না আমরা। অবিলম্বে জামায়াতে বিষয়ে বিএনপির কাছ থেকে সুরাহা চাই।
জাতীয় নির্বাচনকে উদ্ধৃত করে সাবেক এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, দেশের মানুষের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে কিন্তু ঐকমত্য আসেনি। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংসদ গঠিত হোক, এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর যা ঘটেছে সেটা তো আপনারা সংবাদমাধ্যমে পাচ্ছেন।
সরকার চাইলে দুই-তিন মাস বা তার চেয়ে কম সময়ে পুনর্নির্বাচন করতে পারে দাবি করে কামাল হোসেন বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আপনাদের ওপর মানুষের আস্থা তা প্রমাণ হোক একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। যাতে প্রমাণ হয় সব মানুষ যেতে পেরেছে, লাইনে যারা দাঁড়িয়েছে তারা ভোট দিতে পেরেছে।
আগামী ২৩ এবং ২৪ মার্চ ঢাকায় গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
সরকারের উদ্দেশে এ আইনজীবী বলেন, সরকারকে বলব বিতর্ক না বাড়িয়ে একটা সমাধান করা হোক। গণতন্ত্রের ব্যাপারে, সংবিধানের ব্যাপারে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের মধ্যে ঐক্য আছে। সরকারকে এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কিন্তু সুযোগ দেওয়া উচিত যাতে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে।
এর আগে দলের সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।