সংগ্রামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত: ওবায়দুল কাদের

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ হিসেবে উল্লেখ করায় দৈনিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত- বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।
ওই সময় সংগ্রামে যুদ্ধাপরাধীকে ‘শহীদ’ বলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
বুদ্ধিজীবী দিবস প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বুদ্ধিজীবীরা যে স্বপ্ন দেখেছিল, যে স্বপ্নে তাদের আত্ম বলিদান সেই স্বপ্ন এখন পুরোপুরি পূরণ হয়নি। এখনো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে সারা বাংলাদেশে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করা, পরাজিত করাই আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আজ আমাদের শপথ হবে আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষকে মূলোৎপাটিত করব এবং সেই লক্ষ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করব।”
তিনি আরও বলেন, “সারা জাতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মহান সন্তানদের স্মরণ করছে। আজকে আমাদের মনে রাখতে হবে যে সেদিন আক্রান্ত হয়েছিল আমাদের মেধা, মনীষীরা, আমাদের বুদ্ধিমত্তা। জাতিকে মেধাশূন্য করে দেওয়ার জন্য সেদিন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পলায়নপর অবস্থায় পরাজয়ের মুখে আমাদের জাতির মেধা ও মনীষাদের ধ্বংস করার চক্রান্ত করেছিল।৷ সেটাই বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।”
বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে দেশে ফেরত এবং যুদ্ধাপরাধীদের শহীদ বলার বিষয়ে সরকার কোন ব্যবস্থা নিবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, “এটা আমাদের নজরে আছে। বিষয়টা আমরা দেখছি সময়মতো এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে খুনিরা আজকে বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়েও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
সকাল সাতটার দিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।