দুর্নীতি নির্মূল করতে নতুন প্রজম্ম তৈরি করতে হবে,
'দুর্নীতি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করেছে'

দুর্নীতি প্রতিরোধ, দমন ও নিয়ন্ত্রণে সবার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। আর এ জন্য দুর্নীতি-বিরোধী তীব্র সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন সেমিনারে বক্তারা। গতকাল শুক্ররবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে সাপ্তাহিক পত্রিকা শীর্ষ খবর-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘দুর্নীতি বিরোধী অভিযান- রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ: শীর্ষ পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথির বক্তব্যে তারা এ মন্তব্য করেন।
বক্তরা আরো বলেন,দুর্নীতি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে আঘাত করেছে। দুর্নীতি দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করেছে। দুর্নীতি সামাজিক অবক্ষয় ও সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও থাকতে হবে যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেখাচ্ছেন। জনগণের মন- মানসিকতা দুর্নীতি প্রতিরোধে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তাই মানুষের মনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও শক্তিশালী ও কৌশলী হতে হবে।
এসময় বক্তরা আরো বলেন, দুর্নীতি দমনে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনগণকে আরও সচেতন করতে হবে এবং এ আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।
বক্তরা আরো বলেন, বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন একটি চ্যালেঞ্জিং ইস্যু। এটি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দমন করা সম্ভব। কারণ তিনি তাঁর দেশপ্রেম, প্রজ্ঞা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন।
বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো যেখানে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করে তুলেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশকে অতুলনীয় দেশে পরিণত করেছেন। তিনি দুর্নীতির ক্ষেত্রে কখনো আপস করেননি।
এতে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান (শ্বাশত মনির)।