রৌমারী উপজেলাতে রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার, ইউএনও'র হস্তক্ষেপে অপসারণের নির্দেশ

কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় নিম্নমানের ইট-খোয়া, বালু ও ভিটি মাটি ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরপরই ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে নিম্নমানের ইট খোয়া ও মাটি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শৌলমারী ইউনিয়নের চৎলাকান্দা জিঞ্জিরাম নদীর মোড় এলাকা থেকে গয়টাপাড়া এলাকার দুদু মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু হয়।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের জন্য চারটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজটি পান কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জের মেসার্স দুলাল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী জহুরুল হক দুলাল। পরবর্তীতে কাজটি রৌমারীর ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম শালুকে হস্তান্তর করে এবং সে কিনে নেয়। চারটি প্যাকেজের মধ্যে একটি কাজের নির্মাণমূল্য নির্ধারিত করা হয় প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সেই কাজটি শুরু হওয়ার পর থেকেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের ইট-খোয়া ও ভিটি মাটি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগে পেয়ে শুক্রবার বিকেলে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং নিম্নমানের উপকরণের প্রমাণ পেয়ে তাহা সরিয়ে উন্নত মানের উপকরণ বজায় রেখে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
রৌমারীর ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম শালু বলেন, “ভেকু দিয়ে ইট ট্রাক্টরে তোলার সময় কিছু নিম্নমানের ইট চলে এসেছে। ইউএনও স্যার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা অবশ্যই মেনে কাজ করা হবে।”
রৌমারী উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইউএনও স্যারের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, "নিম্নমানের ইট- খোয় ও ভিটি মাটি সরিয়ে দ্রুত উন্নতমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তার কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”