আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে পিএসসি

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা তিতনটায় কমিশনের ভেতরে সভা শুরু হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দাবি আদায়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন।
চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম।
তিনি বলেন, ‘যারা পড়াশোনা করছে তারা সবাই তৈরি। তারা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি মনে করি তারা দুই সপ্তাহ পরীক্ষা পেছানোর জন্য বসে নেই। একই সিলেবাসে দুইটা পরীক্ষা। একটা সিলেবাস পড়েই পরীক্ষা দেওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা পেছানোর দাবিটা মনে হয় না যৌক্তিক।’
৪৪তম বিসিএসের ভাইভা সম্পর্কে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ৪৪তম বলে বিসিএস দ্রুত শেষ করার জন্য সবচেয়ে গুরত্ব দিয়ে কাজ করছি। ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা ১৭ জুনের মধ্যে শেষ করা হবে। ভাইভা শেষে ৩০ জুনের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।’
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ‘৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয় ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর। ৬ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও অর্ধেক প্রার্থীর ভাইভা শেষ হয়নি। যে গতিতে পিএসসি এগোচ্ছে, তাতে আরও এক বছর সময় লাগবে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা শেষ করতে। এরমধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা রয়েছে। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রার্থী ৪৬ এর লিখিত দেবে। তারা মৌখিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে নাকি লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবে?’
তাদের দাবি, বাকি থাকা ভাইভা প্রার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করতে হবে। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে ভাইভা শেষ করা। জুন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল দিতে হবে।
এ ছাড়া তারা বলেন, নন-ক্যাডার বিধি ২০২৩ বাতিল করতে হবে। ৪৪তম বিসিএসে ক্যাডার এবং নন-ক্যাডারে পদসংখ্যা বৃদ্ধি করে ভাইভায় উত্তীর্ণ সবাইকে চাকরির দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।