ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
ধান কাটতে গিয়ে বিষাক্ত কার্বন মনো-অক্সাইড সৃষ্টির ভাগাড় তুলে ধরলেন রাব্বানী!

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী দরিদ্র কৃষকদের ধান কাটতে গিয়েছিলেন সাভার থানাধীন ভাকুর্তা ইউনিয়নে। ধান কেটে ফেরার পথে রাব্বানী তার নিজের ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে তিনি তুলে ধরেন ওই এলাকার রাস্তাঘাট ও একটি কারখানার ভিডিও চিত্র।
ভিডিওতে রাব্বানী বলেন, ঢাকার সব থেকে কাছের ইউনিয়ন ভাকুর্তা। আমরা এখানে এসেছিলাম এখানে ধান কাটতে। ধান কাটতে এসে দেখলাম এখানে একটা অবৈধ ভাবে টায়ার ফ্যাক্টরী তৈরি হয়েছে। এই রকম একটি জনবসতি এলকায় এই ফ্যাক্টরীর অনুমদন কে দিয়েছে তা সত্যি বোধগম্য নয়। ফ্যাক্টরীর কালো ধোয়ায় এখানকার গাছের পাতার রং কালো হয়ে গেছে। এখানে মানবেতর অবস্থায় বসবাস করছেন লোকজন।
এখানকার শ্রমিকরা ৬মাসের বেশি কাজ করতে পারে না। তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি এই এলাকায় কয়েকটি গবাদি পশু মারা গেছে এই কালো ধোয়ার কারণে। পরিবেশ অধিদপ্তর কেন নজরে নিচ্ছে না সেটা আমার জানা নেই। এখানকার মানুষে শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। বশতবাড়ির পাশেই এই ফ্যাক্টরী কি ভাবে গড়ে উঠে? ১৬ মিনিটের ভিডিওতে রাব্বানী তুলে ধরেন এলাকার বিভিন্ন বিষয়ে।
এ বিষয়ে গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাকুর্তা ইউনিয়নের রাস্তার অবস্থা নাজেহাল। যে রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে প্রতিনিয়ত সেই রাস্তার অবস্থা বেহাল। এমনকি এই ইউনিয়নে অবৈধভাবে নির্মান হয়েছে একটি টায়ার কারখানা। যেখানে প্রতিদিন প্লাষ্টিক ও টায়ার পুড়িয়ে বায়ু দূষিত করা হচ্ছে। সেই সাথে আশপাশের মানুষের ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই কারখানার পাশে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শতশত শিক্ষার্থীরা যাওয়া আশা করছে এই কালো ধোয়ার মধ্য দিয়ে। এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছি তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেছি আমরা। ঢাকায় ফেরার পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবো।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন খাঁন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। খুব শিঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার (সুমী) বলেন, ‘আমি নতুন, এলাকার অনেক বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি যতদ্রুত সম্ভব ভাকুর্তা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা বলবো।’
ভাকুর্তা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি বিষয়টি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এর একটা সমাধান আনবো।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন...