ঢাকা বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩২


সংসদে ৩০০ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ


২৩ জুন ২০১৯ ২১:৩২

আপডেট:
৭ মে ২০২৫ ১৯:৪৪

দেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণখেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। তারা সরকারের কাছ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর মধ্যে খেলাপি রয়েছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা।

গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদকে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, ১৪ হাজার ৭১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকে ৫ কোটির ঊর্ধ্বে ঋণ নিয়েছে। যাদের মোট ঋণের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। এদের কাছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।

আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে রক্ষিত ডিসেম্বর ২০১৮ ভিত্তিক বাংলাদেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপির সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ জন এবং অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ। তিনি জানান, ২০১৮ সালে ঋণখেলাপির সংখ্যা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৪৩৬ এবং অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

আরেক এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি (২০১৮-১৯) অর্থবছরের মে ২০১৯ পর্যন্ত দাতা দেশ/সংস্থাসমূহের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৫ হাজার ২১৩ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। ঋণ বাবদ ৪ হাজার ৯৭৪ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদান বাবদ ২৩৮ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মোট টিআইএনধারী করদাতার সংখ্যা ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৪২৯।

শীর্ষ ১০ ঋণখেলাপি হলো সামানাজ সুপার ওয়েল লিমিটেড (১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গ্যালাক্সি সোয়েটার অ্যান্ড ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেড (৯৮৪ কোটি), রিমেক্স ফুডওয়্যার লিমিটেড (৯৭৬ কোটি), কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড (৮২৮ কোটি), মাহিন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (৮২৫ কোটি), রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেড (৭৯৮ কোটি), ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড (৭৭৬ কোটি), এসএ ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (৭০৭ কোটি), সুপ্রভ কম্পোজিট নিট লিমিটেড (৬১০ কোটি) ও গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি টাকা)। সেই সঙ্গে ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে ৫ কোটি বা কম পাওনা থাকাদের তালিকাও প্রকাশ করেন মুস্তফা কামাল।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো গত বছর ৬ হাজার ১৬৩টি ঋণের বিপরীতে ১ হাজার ১৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করেছে। অগ্রণী ব্যাংক ২ হাজার ৮টি ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৪৯৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে। সেই সঙ্গ বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৬৬টি ঋণের বিপরীতে ৪৩৫ কোটি, রূপালী ব্যাংক ২০৩টি ঋণের বিপরীতে ১৩৪ কোটি, সোনালী ব্যাংক ১৪টি ঋণের বিপরীতে ৭৩ কোটি, জনতা ব্যাংক ২ হাজার ৪৭৩টি ঋণের বিপরীতে ৫৪ কোটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ১ হাজার ৩৮০টি ঋণের বিপরীতে ৪ কোটি ৩৫ লাখ ও বেসিক ব্যাংক ১৯টি ঋণের বিপরীতে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সুদ মওকুফ করে।